ভুবন মাঝি আমাদের হতাশা না সাফল্য???
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহুল আলোচিত ফাখরুল আরেফীন খানের সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা ভুবন মাঝি। সিনেমাটির গল্প মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক হবার কারনে, সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দর্শকদের দুর্বল জায়গা অনেক আগে থেকেই দখল করে রেখেছে।সিনেমাটির গল্প, নির্মাণ, অভিনয়শৈলী অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। বিশেষকরে সিনেমাটির দৃশ্যায়ন ও সঙ্গীত মনে রাখার মত। তবে কিছু মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে অন্য জায়গায় আর সেটা হলো সরকারি অনুদান নিয়ে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমান সমৃদ্ধ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে অনুদান প্রদান নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।ভুবন মাঝি সিনেমাটি নিঃসন্দেহে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ, জীবনমুখী গল্পের শৈল্পিক চিত্রায়ন কিন্তু আমরা কি দাবি করতে পারবো যে সিনেমাটি পুরোটাই বাংলাদেশের? যেখানে সিনেমাটিতে মুখ্য ভুমিকায় অভিনয় করেছেন কলকাতার পরমব্রত, চিত্রগ্রহণে ছিলেন কলকাতার রানা দাশ গুপ্ত, সংগীতে ছিলেন ভারতের কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, এক্সিকিউটিভ প্রডুউসার ছিলেন কলকাতার জয়ন্তকুণ্ডু, এছাড়া পোস্ট প্রোডাক্টশনে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অনেকেই ভারতের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে সরকার যে ভুবন মাঝি সিনেমায় অনুদান দিলেন সেটা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য নাকি ভারতের চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য? আর এই বিষয়টা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কতৃপক্ষকে বিষয়টি আমলে নেয়ার অনুরোধ করেছেন। যাইহোক ভুবন মাঝি সিনেমাটিকে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা বলেও চালানো যেত। এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন, ভুবন মাঝি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য হতাশা না সাফল্য? আপনারা আপনাদের মূল্যবান মতামত অবশ্যই জানাবেন, ধন্যবাদ। বাংলাদেশের সিনেমার জয় হোক...